রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক:অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়ছে না চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেবা।
প্রতিনিয়তই এ বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রী অনুপাতে সেবা না থাকায় মাঝেমধ্যে হাটবাজারের মত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বিমানবন্দরে। ফলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিদিনিই অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ত্রাহি অবস্থা হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। একসাথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের বিমান আসলে যাত্রীর চাপে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরে। কারণ কাস্টমসে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য মাত্র দুইটি বেল্ট রয়েছে এ বিমানবন্দরে। ফলে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের একাধিক ফ্লাইট যদি বিমাবন্দরে অবতরণ করে তাহলে হাটবাজারের মত অবস্থার সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরে। তখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় একসাথে ৬টি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এগুলো হল আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, দুবাই থেকে ফ্লাই দুবাই, শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া, ওমান থেকে রিজেন্ট এয়ার, দুবাই থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং কাতার থেকে ইউএস বাংলা। একসাথে ছয়টি বিমানের যাত্রীরা যখন বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে আসে তখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের শোরগোলে বিমানবন্দর যেন হাট-বাজারে পরিণত হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য মাত্র দুইটি বেল্ট থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অধিক যাত্রী থাকায় মালামাল রাখার ট্রলি নিয়েও যাত্রীদের মধ্যে যুদ্ধ করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানে করে আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম আসা মো. সোলাইমান সিপ্লাসকে জানান, আবুধাবি থেকে চার ঘন্টার চট্টগ্রাম চলে এসেছি। সকাল ৮টায় ফ্লাইট ল্যান্ড করেছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে বসে আছি। আরো কতক্ষণ লাগে কে জানে। মানে আবুধাবি থেকে ৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম চলে এলাম কিন্তু বিমানবন্দর থেকে ৪ ঘন্টায়ও বের হতে পারলাম না! কি আজব কারবার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির সিপ্লাসকে জানান, দিন দিন ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটও বাড়ছে। ফলে আগের তুলনায় যাত্রীর চাপ একটু বেশি। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি যাত্রীদের সেবা দিতে। আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য আরো কয়েকটি বেল্ট খোলা যায় কিনা সে ব্যাপারে আমরা চিন্তা করছি।
উল্লেখ্য, আগে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য বাংলাদেশ বিমানের ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন এ দেশের মানুষ। ১৯৯৬ সালে বেসরকারি খাতে প্রথম বিমান সংস্থা হিসেবে অ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইনসের যাত্রা শুরু হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২টি বিমান সংস্থা এলেও কেবল চারটি টিকে আছে; এগুলো হলো- ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ার।